কবিতা সমগ্রের কবিতা পড়বো কিভাবে? কবিতাগুলো পড়ার জন্য সূচিপত্রে লেখা কবির নাম অথবা কবির কবিতার উপর ক্লিক করুন। দেখবেন কবিতা আপনার স্ক্রিনে চলে এসেছে
সাপ্তাহিক কবিতা সমগ্র ২
অন্যবাংলায় আজকে সাপ্তাহিক কবিতা সমগ্র ২ এ প্রকাশিত হলো ৯ জন কবির সাপ্তাহিক কবিতা সমগ্র ২ শিরোনামে ১৪ টি চমৎকার কবিতা। আপনারা এই সাপ্তাহিক কবিতা সমগ্র ২ এর কবিতাগুলো পড়ুন ও আপনাদের মতামত জানান।
রথীন পার্থ মণ্ডল এর কবিতা
মাঝদরিয়া
রাত্রির বুক চিরে নেমে আসে মেঘ
তোমার ভালোবাসা মাখা হাতের স্পর্শে
একদিন ভেঙেছিল ঘুম।
ঘুম ঘুম চোখে দেখেছিলাম
তারাদের আনাগোনা,
তুমি তো ছিলে আমারই পাশে
হাতে হাত রেখে…
দমকা হাওয়ায় নিভে গেল সব
অন্ধকারে তোমার হাত হাতড়াতে হাতড়াতে
মাঝদরিয়ায় ভেসে চলি
কিনারার খোঁজে।
মনে পড়ে
পথ চলতে চলতে বড্ড ক্লান্ত হয়ে পড়েছি
মাঝে মাঝে ভালো লাগে না পথ চলতেও
তবুও চলতে খুব ইচ্ছে করে
ইচ্ছে করে সামনের দিকে এগোতে
ইচ্ছে করে পিছোতেও
তোমার সাথে হাতে হাত রেখে পথ চলতে
মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে
কিছু কিছু সময় হারিয়ে ফেলি পথও
আসলে ফেলে আসা কালের পথে
আজও খুঁজে পাই নিজেকে
খুঁজে পাই তোমাকে
এই পথের কাছে রোজই কত কিছুই না শিখি
তবুও কেন জানি না মাঝে মাঝে বড্ড
অচেনা লাগে এই পথকে
একলা চলার পথে
পথের সাথে কথা বলতে বলতে
কানে কানে বলে যায়–
কাঁকড় বিছানো পথে হাঁটার অভ্যাস রাখো।।
গোবিন্দ মোদক এর কবিতা
নাম: গোবিন্দ মোদক। সম্পাদক: কথা কোলাজ সাহিত্য পত্রিকা। পিতা: কানাই লাল মোদক। মাতা: প্রতিভা রাণী মোদক। লেখকের জন্ম: ৫-ই জানুয়ারি, ১৯৬৭ বাসস্থান: রাধানগর, কৃষ্ণনগর, নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গ। ডাক সূচক- 741103 শিক্ষাগত যোগ্যতা: M.Com (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়)। পেশা: প্রথম জীবনে অধ্যাপনা, পরবর্তীতে India Post (ডাক বিভাগ)-এ কর্মরত।নেশা: লেখালিখি। বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র হওয়া সত্বেও ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যের প্রতি ঐকান্তিক অনুরাগে হাতে তুলে নিয়েছেন কলম। ছড়া, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, রম্য রচনা, উপন্যাস ইত্যাদি লিখলেও ছোটদের জন্য ছড়া-কবিতা ও গল্প লেখার মধ্যেই খুঁজে পান অধিকতর তৃপ্তি। প্রচারবিমুখ আত্মমগ্ন এই মানুষটি লেখালিখি ছাড়াও ভালোবাসেন: বই পড়া, গান শোনা, পত্রিকা সম্পাদনা, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা, বেড়ানো, সাহিত্য বিষয়ক নির্ভেজাল আড্ডা, এলোমেলো ভাবনায় নিমগ্ন হওয়া। অপছন্দের বিষয়: যে কোনও ধরনের রাজনীতি।
প্রথম লেখালিখি: প্রথম কবিতা “প্রেম” প্রকাশিত হয় শারদীয়া অভিষেক (১৯৮৯) পত্রিকায়। প্রথম গল্প ছাপা হয় তটরেখা পত্রিকায় (হরিপদ’র গল্প) ১৯৮৯ সালে। প্রথম কিশোর উপন্যাস “গুপ্তধনের খোঁজে” প্রকাশিত হয়েছে ১৯৮৯ সালে শারদীয় “আসানসোল হিতৈষী” পত্রিকায়। লেখালেখির সেই প্রবাহ এখনও ভীষণভাবেই বহমান … নানা ধরণের লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে চলেছে দেশ ও বিদেশের অজস্র পত্র-পত্রিকা ও দৈনিকে। লেখালেখির সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজারের কিছু বেশি — যার অধিকাংশই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত গ্রন্থ: হারিয়ে গেছে ডাক-বাক্স, ধিতাং ধিতাং বোলে, অদ্ভুত যতো ভূতের গল্প, পদ্য ভরা আমার ছড়া, ছন্দ ভরা আমার ছড়া, আলুক ফালুক পদ্ম-শালুক, ‘আয়নার সামনে একা’, ‘প্রথম অন্ধকার এবং ঈভ’। প্রকাশিতব্য গ্রন্থ: রূপকথার রূপ ও কথা, ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ, গুপ্তধনের সন্ধানে, জীবনের রোদ-রং ইত্যাদি। সম্মাননা: পেয়েছেন অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা। তবুও পাঠকের ভালোলাগা এবং ভালোবাসা-ই সবচেয়ে বড় পুরস্কার।
একটি অযাচিত মৃত্যুর ময়না তদন্ত
কোনও কোনও মৃত্যু বড়ো বেশি চুপচাপ
গম্ভীর, শান্ত, সমাহিত আর বিষণ্ণ
দেবদারু গাছটা পর্যন্ত থম মেরে থাকে শোকে
বাতাসটা নিতান্তই ভারী, শোকাবহ
অনিবার্য একটা বৈরাগ্য দোল খায় সময়ের তারে
নির্নিমেষ নৈঃশব্দ বড়ো বেশি টোল খায়
আশেপাশে উদ্গত কান্নাদের ভিড়
অথচ প্রবেশের পথ পায় না তেমন করে।
কোনও কোনও মৃত্যু আবার বড়ো বাঙ্ময়, রঙিন
উচ্চকিত গাম্ভীর্যের ছদ্মাবরণের আড়ালে
লোক দেখানো শোকপ্রকাশের হিমায়িত প্রচেষ্টা
অসংখ্য ক্যামেরার ফ্ল্যাশ বাল্বের ঝলকানির তোড়ে
বড়ো বেশি উচ্চকিত, আভিজাত্যপূর্ণ, সরব
অসংখ্য সুগন্ধি ধূপের হাহাকার-পূর্ণ
রজনীগন্ধার সবাক উপস্থিতি তাকে দ্বিধাগ্রস্ত করে।
অথচ তোমার মৃত্যু এই দু’টোর কোনোটাই নয়
বরং নিতান্তই কোলাহলপূর্ণ
আর পুলিশি তৎপরতায় ভরপুর
অসংখ্য ঔৎসুক্য তোমার মৃত্যুকে বারোয়ারী করে তোলে
যেখানে কোনও ছন্দ নেই, আড়াল নেই
নেই সঘন গহন তাপ-উত্তাপের রকমফের।
এমনটিই কি চেয়েছিলে তুমি? কে জানে!
ভিতর বুকে আয়না
বুকের মধ্যে স্তব্ধ আকাশ, আকাশ জুড়ে মেঘ,
ও উদাসী মেয়ে দে তুই — বাঁধ-ভাঙ্গা আবেগ!
মেঘের ফাঁকে দুঃখী চাঁদের নিত্য আনাগোনা,
চার দেওয়ালের মধ্যে বুকটা হাট করে তুই দে না!
নাইবা থাকুক ভালোবাসার মোম-জোছনার ঢেউ,
রাত নিশুতি হলেই বৃষ্টি আসুক না কো সে-ও!
দুঃসময়ের ডানা জুড়ে যতো সর্বনাশের রেখা,
চাঁদের গায়ে কলঙ্ক যে — অমাবস্যায় দেখা!
আসল কথা বুকের ভিতর ছিল যে তোর আয়না,
নিত্য ছায়া পড়ে তাতে — হরেক রকম বায়না!
আজ অসময় ভালোবাসায় নতজানু হোক চাঁদ,
বুক খুলে তুই ভাসিয়ে দে সুখ ভেঙে ধৈর্য্যের বাঁধ!
অন্য এক পৃথিবীর মানচিত্র
এ জীবনে যারা ভেসে গেছে
যাদের রাতের প্রহর হয়েছে ঘুমহীন
অভাবী থাবা যাদের জীবন জুড়ে —
একমুঠো ভাতের তাগিদে যারা সমর্পিতপ্রাণ;
ছেঁড়া পোশাকের আড়ালে
যারা এখনও লুকিয়ে রেখেছে
আত্মসম্মানবোধ,
ঔৎসুক্যহীন যাদের জীবনে
শুধুমাত্র মধ্যাহ্নের রোদ —
চাঁদের আলোর বিকিরণে
যারা ঝলসানো রুটির বাস্তবতা খুঁজে পায়
হে ভগবান! আমি তাদেরই একজন
যারা নালিশ জানাতে গেলে
প্রশাসন তেড়ে আসে
আইন ভয় দেখায়
আর সংবিধান গলা টিপে ধরে —
তাদের হাতের বলিরেখায় আঁকা আছে
অন্য এক পৃথিবীর মানচিত্র
যেখানে কোনও লাইটহাউসের অস্তিত্ব নেই।
সুমন কুমার ঘোষ এর কবিতা
সুমন কুমার ঘোষ ঠিকানা: অমরপুর , সুগন্ধা,হুগলি,৭১২১০২(চুঁচুড়া)। শিক্ষাগত দিক: বাংলা ও শিক্ষা বিজ্ঞান বিষয়ে এম. এ, এম.এড,পি.এইচ .ডি। পেশা: শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অধ্যাপনা(প্রাইভেট)। ভালোলাগার বিষয়: সাহিত্য চর্চা, সঙ্গীত চর্চা,অঙ্কন,ফুলের বাগান তৈরি, রান্নাশৈলী
মনের মানুষ
যুগে যুগে পৃথিবীতে ,এলো কত মনীষীগণ,
সবার মাঝে খুঁজে পেলাম, একজনেরই মন।
বিশ্ব জয় করে যিনি ,হয়েছেন বিশ্বকবি,
মনের মাঝে ভেসে ওঠে ,তাঁরই মুখচ্ছবি।
সেই মানুষটি জন্মেছেন ,এই বাংলারই ঘরে-
তার কথা মনে পড়লে, অশ্রু ঝরে পড়ে।
চারিপাশে খুঁজে বেড়াই, কবির সেই মন,
কেমন করে পাবো ফিরে, হারানো রত্নধন।
ওই মানুষটির স্বপ্ন দেখি, দিনে ও রাতে,
আসবে ফিরে একদিন ,থাকবো মোরা সাথে।
ধন্য হবে চাওয়া- পাওয়া ,মিটবে মনের আশা,
জগৎ জুড়ে প্রকাশ পাবে ,মোদের ভালোবাসা।
উদগ্র কামনা
নিত্যদিন শরীরে অনুভূত প্রবল চাহিদা।
হাতছানি দেয়, ছুটে বেড়ায় ,রয়ে যায় অধরা-
এ যেন এক আশ্চর্য গোলোকধাঁধা।
স্বপ্নে ভেসে চলা মনে তীব্র বাসনা,
পীড়িত অবহেলিত লাঞ্ছিত চেতনা !
নিদ্রারাক্ষস অন্বেষণ করে সুখ –
নির্জন কলরবে উঁকি দেয় মুখ।
দিশাহীন নাবিকের অসহ্য যন্ত্রণা ,
শিরায় শিরায় প্রকাশ পায় উদগ্র কামনা!
কৌতুহলী মনে গর্জে ওঠে আশা-
যুগে যুগে প্রকাশ পায় প্রেমের এই ভাষা।
ধ্বংসের লীলাখেলা
প্রকৃতি যেন আজ মেতেছে প্রতিশোধে,
জীবে আর দয়া নেই, মায়া জগতে শুধু শোক।
পথে -ঘাটে -মাঠে -প্রান্তরে শুধু মানুষের হাহাকার!
মৃত্যু ,দেখা না দেখা নানা মুখ-
পৃথিবীর চেহারা আজ অমলিন ,অস্তগামী।
আসন্ন ধ্বংসের এ যেন লীলাখেলা!
জীবন নিমেষে উধাও ,শুধু বিষবাষ্পে ভরা-
খাদ্যাভাব ঘরে ঘরে ,মানুষ নিমেষহারা।
দিকে দিকে ধ্বনিত হচ্ছে ,নিষ্পাপ মানুষের ক্রন্দন,
ধ্বংসের লীলাভূমি, কেবল প্রেতাত্মাদের কণ্ঠস্বর।
চারিদিকে অন্ধকার ,হায়নার দল ছুটে ছুটে বেড়াচ্ছে ।
মানুষের হাতের রুটি ,কুকুরে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে,
সমাজের বুকে নেমে আসছে, ছিয়াত্তরের মন্বন্তর!
শংকর ব্রহ্ম এর কবিতা
শংকর ব্রহ্ম – ১৯৫১ সালের ২রা মার্চ, কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন । ১৯৭০ সালের শুরু থেকেই তিনি কাব্য চর্চায় মেতেছেন। কবির প্রকাশিত কবিতার সংখ্যা শ’পাঁচেক-এর চেয়েও কিছু বেশী। প্রায় শতাধিক পত্রিকায় তিনি লেখেন। যাদের মধ্যে উল্লেখনীয় “দৈনিক বাংলা স্টেটসম্যান”, “পুরশ্রী”, “প্রসাদ”, “ঘরোয়া”, “বিকল্প বার্তা” (শারদীয়া সংখ্যা – ১৪২৮ এবং ১৪২৯), শব্দ সাঁকো, সয়ংসিদ্ধা, অমেয়, দৈনিক দেশজগত, বঙ্গীয় সাহিত্য দর্পণ, শব্দনগর, উদ্ভাস, শব্দ লেখা, নীলকমল, বোধগম্য, অচিন পাখি, স্বরধ্বনি পত্রিকা, সৃজাম্যহম্ , খেয়ালী খাম, কাব্যতরী, কাব্যপট, ইলশে গুঁড়ি, সাময়িকি (নরওয়ে থেকে প্রকাশিত) প্রভৃতি।এ’ছাড়াও লিখেছেন সমরেশ বসু সম্পাদিত “মহানগর”, “শিবনারায়ণ রায়” সম্পাদিত “জ্ঞিসাসা”, কিরণ শংকর সেনগুপ্ত সম্পাদিত “সাহিত্য চিন্তা”, পবিত্র মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত “কবিপত্র” দীপেন রায় সম্পাদিত “সীমান্ত সাহিত্য” প্রভৃতি পত্রিকায়।
বুঁদ হয়ে থাকা
দুঃস্বপ্নের রাত্রি এসে মুছে দেবে সব, এও কি সম্ভব?
দুর্বিসহ অন্ধকার কেড়ে নেবে
জীবনের আনন্দ উৎসব?
করাল আঁধার এসে মুছে দেবে সব?
কি জানি কি হয়, জাগে মনে ভয়,
তবু মনেহয় ভোর হলে পাখি জাগে
নানা সুরে করে কলরব
এও তো জীবনের আনন্দ উৎসব।
ঘুম ভেঙে, সকালের রোদে জানলায় দেখি,
নিকটে জারুল গাছে পাখিদের বার্তা বিনিময়
সকালটা মনে হয় যেন ঠিক স্বপ্নের মতো
বহুকাল অপেক্ষার পর এমন সকাল আসে জীবনে একবার
তখন সব কিছু , খুব প্রিয় মনে হয়।
কয়েকটি পাখির ডিম পড়ে আছে নীড়ের ভিতরে
আমার তো ডিমের ভিতরে যেতে খুব ইচ্ছে হয়
সেখানে নীরবে শুধু,
কুসুমের মতো নিজের ভিতরে একা
ইচ্ছের হলুদ ওমে বুঁদহয়ে থাকা।
কে দেব দাস এর কবিতা
অন্তিম পাওয়া
কেউ হাসবে কেউ কাঁদবে,
কেউ বা উড়বে উল্লাসে।
কি পেলাম কি হারালাম,
কি দিলাম এই ভবেতে।
যা পেয়েছি যা নিয়েছি,
সবই পড়ে রবে এই ধরাতে।
আয়,ব্যয়ের হিসাব হবে শূন্য।
ভালো কিছু কর যদি,
ফল হবে তার পূণ্য।
পাপ, পূণ্যের সমাহার,
মাপা হবে নিক্তিতে।
মিলবে জীবের উদ্ধার ভক্তিতে।
বিচার হবে সবার এই ধরাতে,
যাবার আগের শেষ রাতে।
যাবার বেলা পাড়ি দিলেম,
শূণ্য হাতে ত্রিভূবনের ওপারে।
সৌরভ যাদব এর কবিতা
বর্তমান সাহিত্য জগতের জনপ্রিয় তরুণ যুব কবি সৌরভ যাদব। তিনি দেশ বিদেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লিখে চলেছেন নিয়মিত। তার লেখনীর মধ্যে যেমন আছে প্রকৃতি তেমন আছে প্রেম আর আছে নিপীড়িত জনগণের কথা! তার কলমে বার বার উঠে এসেছে বিদ্রোহের অক্ষর! বর্তমানে কবি ছাত্র জীবন অতিবাহিত করছেন।
আমার বসন্ত
আমার বসন্ত মানে মায়ের হাতে বানানো গরম ভাতে মুচমুচে নিম বেগুন ভাজা,
আমার বসন্ত মানে সারাদিন পড়া সেরে সন্ধ্যাবেলা ঠাম্মির কোলে মাথা রেখে গল্পে মন ভেজা!
আমার বসন্ত মানে ছোট্ট বোনের আবদার মেনে পাড়ার মোড়ে দুটো আইসক্রিম কিনে দেওয়া,
আমার বসন্ত মানে দোলের দিনে ভাইয়ের নরম আলতো হাতে মুখে একটুকু রং নেওয়া!!
আমার বসন্ত মানে বন্ধুর আবদার
চল ঘুরতে যায় শুশুনিয়া পাহাড়!
আমার বসন্ত মানে
বাবার দেওয়া রকমারী বইয়ের উপহার,
আমার বসন্ত মানে
ধুলাডাঙ্গা রাঙামাটির পথ মনে পড়ে বারবার !
আমার বসন্ত মানে মায়ের নিষেধ সত্ত্বেও এক মুঠো পলাশ খুঁজতে বিকেলবেলা সুবর্ণরেখার পার!!
আমার বসন্ত মানে তোমার হলদে চিঠির অপেক্ষায় মন দিন গোনে আবার!!!
ছন্দা দাম এর কবিতা
ছন্দা দাম। করিমগঞ্জ আসাম। পেশাঃ শিক্ষিকা। নেশাঃ কবিতা লেখা,ছবি আঁকা, গল্পবই, কবিতার বই পড়া। বেশ কিছু কাব্যগ্রন্থে কবিতা যুগ্ম ভাবে ছেপেছে।
স্বপ্ন পসার
বেদর্দি চান্দনী রাতে জানালার চৌকো আয়নায়
আকাশটা কেমন আকুল ডাকে,
আঁধার এসে নিশ্চিন্তে ঘাঁটি গাড়ে বুকের মাঝখানে
কোথাও নেই তুই…তবু যাস কেন থেকে!!
একটা নদীর দুকুল ভাঙা অসংযত ইচ্ছেদের খাঁজে
তোর আঙুলে আঙুল ছুঁয়ে জীবনের ঘ্রাণ,
আমি তপ্ত কপালে জ্বর সাজাই অসাবধানতায়…
আয়েসি অসুখটাকে শিয়রে বাধার চেষ্টা আপ্রাণ।
ভেজা ক্যানভাসে অস্পষ্ট তুলির টানে…চোখ,
মুখ, ঠোঁট,আর আঁধার ঘনায় তোর চিবুকের কাছটায়,
কতো রঙ,কতো তুলি,কতো ক্যানভাসে….
স্বপ্নেরা আঁকুপাঁকু করে…ছড়িয়ে গিয়ে রামধনু সাজার আশায়।
রোজ ফেলে যাই অচেনা আকাশে তারাদের…
যদি তুই পথ ভুলে ঘরেফেরা মনটাকে আসিস নিয়ে
বটোয়াতে অস্পষ্ট স্বপ্নেরা কোলাকুলি করে শুয়ে
জীবনের হাটবাজার কেটেই যাচ্ছে….
আজন্ম পালিত স্বপ্নদের খুচরো ভাঙিয়ে।।
কাজল মৈত্র এর কবিতা
স্কুল কলেজ লাইফে দেওয়াল পত্রিকায় লেখালেখি শুরু, কবিতা বা ছোট গল্প লিখতে বেশী পছন্দ।
এখন অখন্ড অবসর, তাই আবার লেখালেখি শুরু করেছি
আমার ঈশ্বর
আমি রেখে যাব আমার ঈশ্বর
উত্তর পুরুষের কাছে
ধোঁয়া ভরা ঈশ্বর কণা
যা খুঁজে ফিরি তিনজনা
আর আধখানা চাঁদ লুকিয়ে রাখে কলঙ্ক
তার গোপন গহ্বর থেকে
বিচ্ছুরিত হয় আগুনে শব্দ
হে ঈশ্বর, এই আমার পাওনা
চৌদ্দ প্রদীপের নিভন্ত ধোঁয়ায়
বিলীন হয়ে যায়
আমার পূর্ব পুরুষের বিদগ্ধ বেদনা।
শান্তি দাস এর কবিতা
শান্তি দাস। এম এ (শিক্ষা বিজ্ঞান)। বিষয় শিক্ষিকা সরকারি স্কুলে, খোয়াই, আগরতলা। আগরতলা, ত্রিপুরা।
চাওয়া পাওয়া
জীবন খাতায় প্রতিটি মুহূর্তে শুধু চাওয়া পাওয়ার হিসেব,
জীবন তো চলছে স্রোতের ধারায় অবিরত।
চাওয়া পাওয়ার হিসেব মিলাতে আজ জীবন পড়ন্ত বেলায়,
ছোট বেলায় কত চাহিদা সবটুকু মিলত না যখন তখন,
এক জীবনে মানুষের সব পূরণ হয় না সবার।
হয়তো কখনো চেয়েছি যা পেয়েছি তার অধিক।
সব চাওয়া পাওয়ার মাঝে অনেক আনন্দ লুকিয়ে থাকে,
তবে আজ উপলব্ধি করতে পারছি বড় পাওয়া ভালোবাসা।
ছোট ছোট শিশুদের ভালোবাসা ভরা আলতু ছোঁয়া।
ওদের যখন কাছে পায় চাওয়া পাওয়ার হিসেব ভুলে যাই।
জীবনে যতটুকু চায় হয়তো সবটা মিলে না,
যেটুকু পেয়েছে তাতেই সন্তুষ্ট থাকলে সুখ পাওয়া যায়।
আজ পড়ন্ত বেলায় বসে হিসেব মেলাতে,
এর হিসেব মিলবে না কখনো কিছু পাওয়া চাওয়ার ও বেশি।
আর যা সহজেই পাওয়া যায় হয়তো চাইতেই হয় না,
শুধু আদর স্নেহ ভালবাসা অর্জনে জীবনের সফলতা।
চলুন জেনে নেই কবিতা সমগ্র সম্পর্কে
কবিতা সমগ্র কি?
কেন এই কবিতা সমগ্র?
আমি কিভাবে কবিতা সমগ্রে লিখব?
কবিতা সমগ্র কবে প্রকাশিত হয়
আরো পড়ুন হারানোর পথে পাখির কলকাকলি ছোট গল্প: মায়ের চিঠি দেশলাইয়ের বাক্স ধারাবাহিক গল্প মামলাণু (১ম পর্ব) ধারাবাহিক গল্প মামলাণু ২য় পর্ব ধারাবাহিক গল্প মামলাণু শেষ পর্ব চিত্তরঞ্জন দেবভূতি এর শীতের কবিতা রাজযোটক - সুমিতা চৌধুরীর গল্প সুশান্ত সেন এর কবিতা মালভূমি, একদিন ও অস্থির মুস্তাক আহমেদ এর মধ্যবিত্ত শিরোনামে কবিতা টিনটিনের কৌটো কবিতা সমগ্র ১ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ নিয়ে অন্যবাংলা’র বিশেষ সংখ্যা অণুগল্প পেত্নির সঙ্গে প্রেম
আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজ এ যুক্ত হন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল এ যুক্ত হন