চিত্তরঞ্জন দেবভূতি এর শীতের কবিতা

চিত্তরঞ্জন দেবভূতি এর শীতের কবিতা

অন্যবাংলায় আজকে প্রকাশিত হলো চিত্তরঞ্জন দেবভূতি এর শীতকাল নিয়ে ৩ টি শীতের কবিতা। এই শীতের কবিতাগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা নতুন শীতের কবিতা , কনকনে শীতের কবিতা এসব সম্পর্কে সম্যক ধরনা পাবেন।

শীতের কবিতা
শীতের কবিতা

এই শীত কালে

চিত্তরঞ্জন দেবভূতি

(দার্জিলিং জেলা থেকে)

আজ শীত লাগছে তাই উষ্ণতা আরো বেশি ভালো লাগে/
রাতে ছিল লেপ কম্বল ভোরের বেলায় গরম পোশাক দিয়েছি গায়ে/আর মাঝে মাঝে চা খাওয়ার ইচ্ছে জাগে।

শীত প্রধান এলাকা বলে তাই,
নেশা করার প্রচলন আছে ভালো/
এমনও বাড়ি ঘর আছে, শীতকালে পৌঁছায় না সেখানে সূর্যের আলো/
তুমি কি দেখেছ বন্ধু পাহাড়ের ঘন জঙ্গল কত অন্ধকার?
আমি যত দেখেছি তত অবাক হয়ে গেছি/
অনেকের কাছে নতুন করে তা লেখা বাকি থাকেনা আর।

এখন বর্ষাকাল নয় বলে ঝর্না সমূয় শুকিয়ে গেছে!
যা হয়তো কখনো দেখেছো তুমি/
চা বাগানে চিতাবাঘ রৌদ্র
তাপায়,কাঠবিড়ালি হেঁটে যায়,
এখনো উদাস মনে এইসব দেখি খুশি হই আমি।

মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি অথবা কোচবিহারের রাজবাড়ি নয়তো
মহানগরী কলকাতা গড়ের মাঠ ভিক্টোরিয়ার মতো,
পর্যটকদের মধ্যে প্রেমিক প্রেমিকা হাত ধরে ঘুরে বেড়ায় যতো/

অদূরে মহানন্দা আর তিস্তা জলঢাকা বয়ে চলে।
নৌকা নিয়ে জেলে ধরে মাছ! গানে গানে তারা জীবনের কথা বলে/

এই শীতের সময়

চিত্তরঞ্জন দেবভুতি
(দার্জিলিং জেলা থেকে)

আমাদের এদিকে প্রায় বারো মাস শীত থাকে/
এখন শীতকাল বলে ঠান্ডা বেশি/
পাহাড় ও সমতলে জীবন যুদ্ধ সমানে চলছে/
সমান ভাবে লেগে আছে মানুষের কান্না হাসি–/
এই শীতকালে আমারও গরম জল লাগে/
গরম জলের উষ্ণতা সে মজা আলাদা/
শীতের জড়তা কেটে যায়! মনে আনন্দ জাগে।
লেপ -কম্বল জ্যাকেট শালের তুলনা হয়না -প্রিয় কবি!
তোমাদের দিকেও কি দেখা যায় একই রকম ছবি?
লিখো কিছু কথা ছন্দে -না হয় -গদ্য দিয়ে/
শীতের অলস বেলায় আমি ব্যস্ত থাকবো তাই নিয়ে।
মানুষের কত কাজ হয়‌ নাকো শেষ।
সবাইকে ডেকে বলি -এই দেখো কি সুন্দর আমাদের দেশ!

See also  সাদেকুল ইসলাম এর গল্প চাইনা থাকতে বৃদ্ধাশ্রমে

আমি যেমন আছি

চিত্তরঞ্জন দেবভূতি

এই বেশ ভাল আছি পাহাড় সমতলকে ভালবেসে !
বিশ্বের সুন্দরী দার্জিলিং – জলপাইগুড়ি জেলায় তিস্তা মহানন্দা সব প্রবাহিত পাশাপাশি।
কত নৌকা মাঝি‌‌ আর জেলেদের গান।
এখনো সমান ভালো লাগে।
মাঠে মাঠে শোভা পায় পাকা ফসল আর ধান।
যখন সময় পাই আমি ঘুরতে যাই সবুজ চা বাগান।

কত শত রংবেরঙের ফুলের মেলা।
কত জাতি জনজাতি লোকদের সঙ্গে সুখ দুঃখের কথা বলে কেটে যায় বেলা।
আরো ভালো লাগে যখন শুনি কত নাম না জানা পশু পাখিদের ডাক আর খেলা।

অন্যবাংলা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
আরো পড়ুন

হারানোর পথে পাখির কলকাকলি
ছোট গল্প: মায়ের চিঠি
দেশলাইয়ের বাক্স
ধারাবাহিক গল্প মামলাণু (১ম পর্ব)
ধারাবাহিক গল্প মামলাণু ২য় পর্ব
ধারাবাহিক গল্প মামলাণু শেষ পর্ব
আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন
আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হন
আমাদের ফেসবুক পেজ এ যুক্ত হন

Leave a Comment